ওয়েব কনফারেন্সিঙ যোগাযোগ ব্যবস্থা (VIDEO CALL)



 'অনলাইন ক্লাসেস' , 'অনলাইন ট্রেনিং', 'অনলাইন মিটিং', 'ওয়েব মিনার', ইন্টারনেট ও কম্পউটার প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে ও আজকের পরিস্তিতির প্রয়োজনে "লাইভ" শব্দটির সাথে আমরা আজ বিশেষভাবে পরিচিত ।যদিও সাধারণ টেলিফোন কনফারেন্সিঙ প্রযুক্তি আমরা অনেক আগে ব্যবহার করেছি যেখানে দুজনের বেশি টেলিফোন ব্যবহারকারী তাদের মতামত বিনিময় করতে পারেন। ওয়েব কনফারেন্সিংয়ের জন্য প্রতিটি কম্পিউটার বা মোবাইল সিস্টেমে ইন্টারনেট সংযোগ থাকা দরকার। ওয়েব কনফারেন্সিংয়ের জন্য একটি অ্যাপ্লিকেশন সফ্টওয়্যার প্রয়োজন যা সেই ব্যবহারকারীকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন্যনো কনফারেন্সিং লোকেদের  সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম করবে ।

এই এপ্লিকেশন সফটওয়্যারটি কনফারেন্সইং ফেসিলিটি প্রোভাইডার (যারা কোফারেন্সিঙ সিস্টেম টি চালান) সর্বরাহ করে থাকেন এবং ইটা ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারীকে মূল্য প্রদান করতে হয়। তবে সাধারণ পারিবারিক ব্যবহারের জন্য কোনো চার্জ দিতে হয় না। ওয়েব কনফারেন্সিঙ এ জড়িত লোকেরা তাদের মতামত, তথ্য ও ডাটা সহজেই বিনিময় করতে পারেন এবং উপস্থিত থাকা লোকেদের কাছথেকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পায়ে যেত পারেন।  এই ওয়েব কংনেটিং বা কনফারেন্সিঙ উপস্থিত থাকা সকলকেই এপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করে নিতে হবে এবং সরাসরি 'ইউআরএল' বা ওয়েবসাইট কান্নেক্টয়ং আই ডি লিখে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে। ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনগুলি তাদের এই এপ্লিকেশনটি চালনার জন্য জাভা বা ফ্ল্যাশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে।



ওয়েব কনফেরাতনেইং সিস্টেমে আপনি কমসংখক থেকে অধিক সংখক অডিয়েন্স বা শ্রোতাকে একসাথে মিলিত করতে পারবেন এবং এটি দক্ষ, সহজতম এবং সস্তার উপায়।  এইজন বিশেষজ্ঞ (টিচার, ডাক্তার কিংবা কোনো অফিসের বস) চাইলে ১০ জন থেকে ৫০ জন সহকর্মী, ক্লায়েন্ট বা গ্রাহক কিংবা ছাত্র দের নিয়ে ট্রেনিং বা মিটিং প্রোগ্রামের জন্য ব্যবহার করা হয়। এই ব্যবস্থার ফলে অনেক দূরে বসে ব্যবসা, অফিস ওয়ার্ক (ওয়ার্ক ফর্ম হোম) ক্লাস ইত্যাদি করা যায় এতে বিসনেস ট্রাভেলের খরচ হয়না কিংবা অন্যান্য ঝুঁকি থেকে দূরে থাকা যায়। একই সাথে অনেক অংশগ্রহণকারীদের সাথে কথা বলতে পারায় শ্রুতার তত্ক্ষণাত ছবি ভিডিও কিংবা প্রতিক্রিয়া পেতে সক্ষম করে। 

এই মাধমের প্রতি জন শ্রোতা-দর্শক প্রেসেন্টেশন কারীর ম্যাটেরিয়ালস বা সরঞ্জাম, ছবি বা ভিসিয়ালস, লাইভ ডেমোনস্ট্যাশন বা করে দেখানো, তথা মুখোমুখি সাক্ষাতের ফলে ইভেন্টগুলিকে খুব জীবন্ত করে তুলে। আধুনিক প্রযুক্তির ইটা একটা বিরাট সুফল দ্রুতগতির ইন্টারনেট ও কনফারেন্সইং সিস্টেম এরফলে অনেক দূরদূরান্ত থাকে অনেকের সঙ্গে একসঙ্গে কম খরচে মিটিং ও ব্যবসায়িক যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে ফলস্বরূপ অহেতুক খরচ ও ঝামেলার উপশম হচ্ছে। 

এছাড়াও ওয়েব কনফারেন্সিঙ আরেকটি সুবিধা হলো সংযুগকারী ব্যাক্তিগন নিজোস্য সুবিধামতো স্থানে বসে অডিও-ভিজ্যুয়াল কথা বলতে পারেন এর জন্য কোনো অফিস ব্যবহারের প্রয়োজন নাই। পালস কাফেরেন্স কল রেট সাধারণ টেলিফোনিক কল রেটের চেয়ে অনেক সস্তা এমনকি সংয়ুজ বিচ্ছিন্ন বা কানেকশন ব্র্যাক হওয়ার কোনো কারণ নেই তাই এখানে ৭ দিনে ২৪ ঘন্টা কোনো কর্মচারী, ব্যবসায়, বিনিয়োগকারী, সর্বরাহকারী বা গ্রাহকদের সঙ্গে উৎপাদনসিল ও কার্যকরী যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব, বর্তমানে কোফারেন্স কল পরিসেবাকারী তাদের কল রেট অনেক কমিয়ে দেওয়ায় এবং একইসঙ্গে পরিষেবায় অনেক উন্নতি করায় ব্যবসায়িক অগ্রগতিতে অনেক সফলতা আসছে, আজকাল অনেক বড় বা ছোট ব্যবসায়িক প্রতিষ্টান, অফিসিসিএল  যোগাযোগ এর জন্য ওয়েব কনফারেন্সিঙ ব্যবহার করছেন এই ব্যবস্থা এখন অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।



টেলিফোনিক কনফারেন্সিঙ সিস্টেম ব্যবহার করার জন্য ভালো স্পিকার ফোন যুক্ত সরঞ্জাম (টেলিফোন) প্রয়োজন ছিল সেসময় ইটা একটা যুগান্তকারী উপায় ছিল।  পরবর্তীতে সাধারণ কনফারেন্স এর নিয়মকে সম্পূর্ণ পাল্টে দিয়ে কম্পিউটার অথবা মোবাইল ফোনের সাহায্যে অডিও - ভিজ্যুয়াল বা ফেস তো ফেস যুগাযুগ ওয়েব কনফারেন্সিঙ মানুষের অনেক দূরত্যুকে কমিয়ে দিয়েছে অতি সাধারণ ব্যাক্তি এর সুবিধা উপভোগ করছে।  শুধুই তাই নয় ভার্চুয়াল কনফারেন্সিঙ এর মাধ্যমে পৃথিবীর বড় বড় নেতাগণ অনেক গুরুতূপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েনিচ্ছেন। বর্তমান কোরান কালে করোনা ভ্যাকসিন রিচার্চ এর ক্ষেত্রে দেশ-বিদেশের বিজ্ঞানীদের এই ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে অনেক সহায়তা করেছে ওয়েব কনফারেন্সিঙ সিস্টেম তাই দেশের জনগণ এই ভ্যাকসিনএর সুফলটা লাভ করতে পারছেন, ফলে প্রচুর জীবন বেঁচে যাচ্ছে।    

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সেল ফোন ট্র্যাকার :: Cell Phone Tracker

AD-SENSE !! কত টুকু সত্য

I B P বা ইন্টারনেট বিজনেস প্রমোশন